উখিয়ার বালিখেকো গণি’র আস্তানায় অভিযান, শাহাজাহানের ডাম্পার জব্দ

ইমরান আল মাহমুদ :


উখিয়া উপজেলার পালংখালী মোছারখোলা এলাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বালুখেকো গণি সিন্ডিকেট। সংরক্ষিত বনভূমি থেকে অবৈধভাবে বালু পাচারের একাধিক মামলায় অভিযুক্ত আবদুল গণি যেনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। তার সিন্ডিকেটের সদস্য দ্বারা পরিবেশ বিধ্বংসী কাজে নিজেকে লিপ্ত রেখে লাখ লাখ টাকা অবৈধভাবে আয় করে যাচ্ছে বালুখেকো গণি।

সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার(১৯ মার্চ) দিবাগত রাত তিনটার দিকে উখিয়া রেঞ্জের মোছারখোলা বিটে অভিযান পরিচালনা করে সংরক্ষিত বনভূমি থেকে অবৈধভাবে বালু পাচারের সময় ব্যবহৃত বালুভর্তি ডাম্পার জব্দ করে বনবিভাগ। জব্দকৃত ডাম্পার উখিয়া রেঞ্জ কার্যালয় হেফাজতে রয়েছে। ডাম্পারটি জামতলী এলাকার বাদশাহ মিয়ার পুত্র বহু অপকর্মের হোতা শাহাজানের বলে জানা গেছে।

বনবিভাগসূত্রে জানা যায়, পালংখালী গয়ালমারা এলাকার আব্দুল গণি একাধিক মামলায় অভিযুক্ত। তার বিরুদ্ধে উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা কর্তৃক দায়ের করা কয়েকটি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ২০২২-২৩ অর্থবছরের উখিয়া রেঞ্জের মামলা নং ৬২, ৬৪,৭৬ ও ৯৫।

সর্বশেষ অভিযানকালে আভিযানিক দলের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ায় গণি সিন্ডিকেটের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি বনবিভাগ। অভিযানকালে মোছারখোলা বিট কর্মকর্তা বেলাল হোসেন, থাইংখালী বিট কর্মকর্তা বিকাশ দাশ, উখিয়া সদর বিট কর্মকর্তা ইমদাদুল হাসান, দোছড়ি বিট কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদুজ্জামান সহ স্টাফবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলম বলেন,”পালংখালী এলাকার সংরক্ষিত বনভূমিতে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করে পরিবেশ ধ্বংসের কর্মযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে আব্দুল গণি প্রকাশ গণি ডাকাত। সে একজন দুর্ধর্ষ প্রকৃতির লোক। তার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। তার সিন্ডিকেটের একটি ডাম্পার মোছারখোলা বিটের আওতাধীন বনভূমি থেকে অবৈধভাবে বালু পাচারের সময় জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত ডাম্পারের মালিকসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”